ওয়েব ডেস্ক: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, একজন নেতা ও একটি দলের কারণে দেশ আক্ষরিক অর্থেই যুদ্ধাবস্থায় নিপতিত হয়েছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় ক্ষমতার প্রয়োগ অর্থে স্বাধীনতার যে তাৎপর্য তা হারিয়ে গেছে।
রোববার (১২ নভেম্বর) দুপুরে পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সম্মেলনে চার দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন পীর সাহেব চরমোনাই। সেগুলো হলো-
১. নির্বাচন কমিশন একতরফা তফসিল ঘোষণা করতে চাইলে তফসিল ঘোষণার দিন ঢাকায় নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল করা হবে।
২. তফসিল ঘোষণার পরের দিন সারা দেশে প্রতিটি জেলা এবং মহানগরে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল ।
৩. আন্দোলনরত অন্যান্য বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সব কর্মসূচির প্রতি পূর্ণ সমর্থন।
৪. জাতীয় সংকট নিরসনে সব রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে আগামী ২০ নভেম্বর ঢাকায় জাতীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে এবং পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতার লোভে সৃষ্ট রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ নভেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশে দেশবাসীর সামনে তুলে তা ধরেছিলাম। শান্তিপূর্ণ উপায়ে সংকট উত্তরণে সরকারের কাছে কিছু যৌক্তিক দাবিও জানিয়েছিলাম। কিন্তু সরকার কোনোরূপ কর্ণপাত করেনি।
চরমোনাই পীর বলেন, আমরা আগেও বারংবার বলেছি যে, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো জাতীয় নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না। কারণ নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে যে আস্থা ও বিশ্বাসযোগ্যতা থাকার দরকার তা এ সরকারের নেই। এবং এটা বারংবার প্রমাণিত হয়েছে। আমরা বিগত সময়গুলোতে স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে অংশ নিয়ে তাদের প্রতারণা ও সহিংসতা মানুষের সামনে প্রকাশ করে দিয়েছি। আওয়ামী লীগের চরিত্র যে পরির্বতন হবে না সর্বশেষ লক্ষ্মীপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হয়ে যাওয়া দুটি উপনির্বাচনও এর প্রমাণ।